“প্রতিদিন আড়াই লক্ষ স্টুডেন্ট পড়াচ্ছি ”-আয়মান সাদিক
প্রকাশঃ ০৮:৩৩ মিঃ, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
বাংলাদেশে বড় ধরনের দুটো সমস্যা রয়েছে একটি হলো টাকার অভাবে কেয়িালিটি এডুকেশন পাচ্ছে না এবং দ্বিতীয়ত, ঢাকার বাইরে থাকার কারণে অনেকে কোয়িালিটি এডুকেশন ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । তখন আমার মনে হল যে এমন যদি একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাওয়া যেত যেটা কিনা ফ্রি তাহলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয় । একটা হচ্ছে টাকা পয়সার কোন বালাই নেই দ্বিতীয়ত, অনলাইনে আমি ঢাকায় থাকি আর নরসিংদী থাকি আর বুড়িগঙ্গার তীরে থাকি যেকোনো যায়গা থেকে এডুকেশন সমানভাবে পাচ্ছি। সেখান থেকেই টেন মিনিট স্কুল তৈরি করার পরিকল্পনা শুরু হয় এবং আলহামদুলিল্লাহ এখন প্রায় প্রতিদিন আমরা আড়াই লক্ষ ছাত্র/ছাত্রী আমরা অনলাইনে পড়াচ্ছি।
টেন মিনিটস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক বাংলাদেশের তরুণদের জন্য এখন এক অনুকরণীয় নাম। ইন্টারনেটের ইতিবাচক ব্যবহার করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন অনলাইন স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা ও একটি শক্তিশালী এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার হাতিয়ার হতে পারে এবং তিনি তা প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন একটি জাতি গঠনে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। সম্প্রতি তিনি আন্তর্জাতিক সুনাম কুড়িয়েছেন বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। যার নিষ্পাপ হাসিতে সত্যিকারের- বাঙালিত্ব, দেশপ্রেম শিক্ষানুরাগ অবলিলায় ফুটে উঠে। গত সন্ধ্যায় এক প্রাণবন্ত আড্ডা জমে উঠেছিল আয়মান সাদিক ও প্রযুক্তি বাংলা টিমের সাথে। বিশেষ এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন প্রযুক্তি বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি তারেক হাবিব ও সৌরভ হোসাইন।
প্রযুক্তি বাংলাঃ শুভ সন্ধ্যা আপনার স্বভাবসুলভ নিষ্পাপ হাসি মুখ দেখে আমি ভাল আছি এবার বলুন আপনি কেমন আছেন?
আয়মান সাদিকঃ আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে অনেকেই নার্ভাস লাগে আমার আসলে বেশ ভালোই লাগে, প্রতিদিন অনেক ভিডিও বানানো হয় তাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তো আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি
প্রযুক্তি বাংলাঃ শুনবো আপনার সফলতার গল্প যে গল্প শুনে প্রযুক্তি বাংলার পাঠক ও আরো অনেক তরুণ-তরুণীরা হয়তোবা সফলতার পথ খুঁজে পাবে। বাংলাদেশের সময় কি তাহলে বদলে গেছে যেখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পার্ট চুকিয়ে চাকরি খোঁজার স্বপ্ন দেখে সেখানে জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এ এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা আপনার মত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করার আগে কিছু না কিছু করছে সত্যিই কি তাহলে আমরা বদলে যাওয়া সময় দাঁড়িয়ে কথা বলছি এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?
আয়মান সাদিকঃ অবশ্যই আমাদের জন্য সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এমন উদ্যোগ আছে যেগুলো বাংলাদেশের বড় ধরনের ইফেক্ট আছে আমাদের যাত্রা শুরু হয় আজ থেকে আড়াই বছর আগে ১৭ মে, ২০১৫ থেকে যাত্রা শুরুর কথা যদি বলি তাহলে বলতে হবে আমার ইউনিভার্সিটি লাইফের কথা তখন আমি বিভিন্ন স্টুডেন্ট পড়াতাম তাই আমার কাছে ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনেক ছাত্র আসত তারা বলত যে আমাদের ৭০০০ টাকা দিয়ে বাবা পাঠিয়েছে ঢাকায় এখন আমি কি করবো কারণ কোচিং ফি তেরো হাজার টাকা , কোচিং কিছু বলে ৭০০০ টাকা দিয়ে না হয় ভর্তি হলো বাট থাকবে কোথায়, খাবে কি? আমি দেখলাম যে বাংলাদেশে বড় ধরনের দুটো সমস্যা রয়েছে একটি হলো টাকার অভাবে কেয়িালিটি এডুকেশন পাচ্ছে না এবং দ্বিতীয়তঃ ঢাকার বাইরে থাকার কারণে অনেকে কোয়িালিটি এডুকেশন ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । তখন আমার মনে হল যে এমন যদি একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাওয়া যেত যেটা কিনা ফ্রি তাহলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয় । একটা হচ্ছে টাকা পয়সার কোন বালাই নেই দ্বিতীয়ত অনলাইনে আমি ঢাকায় থাকি আর নরসিংদী থাকি আর বুড়িগঙ্গার তীরে থাকি থেকে এডুকেশনের সমানভাবে সেখান থেক টেন মিনিট স্কুল তৈরি করার পরিকল্পনা শুরু হয় এবং আলহামদুলিল্লাহ এখন প্রায় প্রতিদিন আমরা আড়াই লক্ষ ছাত্র/ছাত্রী আমরা অনলাইনে পড়াচ্ছি।
প্রযুক্তি বাংলাঃ আজকের অবস্থানে আসার আগে নিজেকে ঠিক কোথায় দেখতে চেয়েছিলেন নাকি লক্ষ্য ঠিক রেখে অভিষ্ট জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছেন? পথ চলার শুরু কখন কিভাবে হয়েছিল প্রযুক্তি বাংলার পাঠকদের উদ্দেশ্যে সেই গল্প তুলে ধরতে চাই?
আয়মান সাদিকঃ সত্যি কথা বলতে আজকের অবস্থান যেখানে এসেছি একেবারে এই রকম জায়গায় বসে সাক্ষাৎকার দিব, এখানে অফিস থাকবে এতগুলো মানুষ নিয়ে কাজ করবো এই ধারণা তো অবশ্যই ছিল না । শিক্ষক হওয়ার শখ ছিল কেননা পড়াতে ভালো লাগতো। প্রথম দিন যখন পড়িয়েছিলাম তখন এক ছাত্র বলল ভাই আপনিতো জিনিয়াস এটা খুব ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। পড়াশোনা করা একটা মজার ব্যাপার আর শেখানোটা আরো বেশি মজার সেখান থেকে একটা স্কুল খোলার, অনলাইনে খোলা, বিনামূল্যে করা কারণ অনেক ছাত্র বেশ ঝামেলায় পড়েতো ওইটাই আসল লক্ষ্য ছিল পরবর্তীতে আস্তে আস্তে পথ চললাম। একজন , দুইজন ,পাঁচজন করে কুড়িজন থেকে এখন ৫৩ জনের বিশাল একটা টিম এ পরিণত হয়েছে । অবশ্য এটা আগে পরিকল্পনা ছিল না আলহামদুলিল্লাহ আমার আশেপাশের মানুষগুলো অনেক সহযোগিতা করেছে , তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ অনেক সহযোগিতা করেছে , আমার স্টুডেন্টরা সহযোগিতা করেছে ।
প্রযুক্তি বাংলাঃ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এ আপনারা যারা তরুণ আইসিটি উদ্যোক্তা মোটামুটি অনেক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন আপনার কি মনে হয় এখানে আরো কিছু সুযোগ-সুবিধা যুক্ত হলো উদ্যোক্তাদের আরো সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে?
আয়মান সাদিকঃ জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কেএ আমাদের যে স্পেসটা দেওয়া হয়েছে আসলে বিশাল একটা ব্যাপার। আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না যে কাওরান বাজারের মতো রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে এত সুন্দর একটা জায়গা পাওয়া, এত সুন্দর একটা স্টুডিও পাওয়া আসলে এটা আমাদের জন্য কল্পনাতীত। এরকম বিশাল সাপোর্টে পেয়ে আমরা অনেক বেশি কৃতজ্ঞ এবং আমাদের মনে হয় এখানে বিভিন্ন ফ্লোরে অনেক সফল মানুষ আছে প্রচুর সাফল্য পাওয়া স্টার্টআপ আছে তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায় । তাও যদি বলতে হয় আরকি যোগ করা যায় তাহলে আমি বলব যেখানে বিভিন্ন তলায় অনেক জন মানুষ আছে যারা বিভিন্ন বিভিন্ন সেক্টরে অনেক অভিজ্ঞ আমাদের যদি এমন স্কোপ থাকতো সপ্তাহে একদিন কেউ একটা কোন পার্টিকুলার সেক্টরে যে যেটা ভালো পারে সে যদি সেটা শেখাতো তাহলে বাকিরা আমরা অনেক কিছু শিখতে পারতাম । এই নতুন একটা জিনিস যুক্ত করা যায় । আমি যেহেতু শিক্ষক সেদিক থেকেই চিন্তাটা চলে আসছে।
প্রযুক্তি বাংলাঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আপনারাও প্রতিনিধি কিংবা অংশীদার ভবিষ্যতে দেশে তরুণদের জন্য বা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
আয়মান সাদিকঃ বাংলাদেশে প্রায় এক লক্ষ 70 হাজার স্কুল 4 কোটি 87 লক্ষ স্টুডেন্ট । বিশাল একটা সংখ্যা । এত বিশাল সংখ্যার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আরও অনেক প্রযুক্তি আবিষ্কারের এখনো বাকি। আমাদের এখন স্বপ্ন হলো ঐ সকল স্কুলের সাথে কানেক্টেড থাকা। 4 কোটি 27 লাখ স্টুডেন্ট বিনামূল্যে শিক্ষার সব উপকরণ পেয়ে যাবে । আমি চিন্তা করি , তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ যে এখন ২৯ হাগার স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করছে সেগুলোর মাধ্যমে স্কুলগুলোতে আমরা কানেক্টেড থাকতে পারবো খুব সহজেই।
প্রযুক্তি বাংলাঃ আপনার মূল জায়গা টেন মিনিটস স্কুলের কথা বলুন কেমন চলছে কিংবা আরো স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেমের জন্য কি করতে চান ভবিষ্যতে?
আয়মান সাদিকঃ টেন মিনিটস স্কুল এ আমি প্রতিদিন আড়াই লক্ষ স্টুডেন্ট পড়াচ্ছি ফেইসবুক ইউটিউব সার্চ করলে আপনি অনেক ভিডিও দেখতে পাবেন ,আমাদের ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে টেন মিনিট স্কুল লাইভ যেখানে ৯ লক্ষ ৭০ হাজার সদস্য প্রচুর ছাত্র/ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পড়াশোনা করছে লাইভ ক্লাসে যুক্ত হচ্ছে । এখন আমি ইন্টারভিউ দিচ্ছি সেখানে আমাদের স্টুডেন্টরা লাইভ ক্লাস নিচ্ছে । এভাবে আমাদের প্রায় ছয় হাজার ভিডিও আছে যা থেকে প্রতিনিয়ত ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করছে । ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলব আমাদের যে ভিডিও গুলো রয়েছে সেগুলো সাইজ একটু বড় তাই ইন্টারনেট সাপোর্ট না থাকার কারণে একটু অসুবিধা হয় তাই আমরা এই মাসের শেষে একটা এ্যাপ লন্চ করছি যেখানে ক্লাস ওয়ান থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সবকিছু অ্যাপের মাধ্যমে থাকবে আশা করি এটা করার ফলে প্রতিদিন আমরা ৬/৭ লক্ষ ছাত্রদেরকে প্রতিদিন পড়াতে পারবো এবং তাদের জন্য পড়াশোনার যে অভিজ্ঞতা আছে তা অনেক সহজ ও সাবলীল হবে এবং ইন্টারনেটের উপর চাপ কমবে (হাসি) ।
প্রযুক্তি বাংলাঃ আজকের আয়মান সাদিক তৈরী হতে সব থেকে বেশি কাদেরকে পাশে পেয়েছেন এবং কিভাবে , কার অবদান সবচেয়ে বেশি আপনার ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক জীবনে?
আয়মান সাদিকঃ শুরুতেই বলতে হয় টেন মিনিটস স্কুলের স্টুডেন্ট কমিউনিটির কথা আমাদের প্রায় 40 লক্ষ টেন মিনিটস স্কুলের আছে আমাদের কমিউনিটিতে তারা বিশাল সাপোর্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আমাদের শুরু থেকে সাপোর্ট করে আসছে আমাদের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্যার নিজে আমাদের ক্লাসে এসে ক্লাস নিয়েছেন । আমি আসলে এটা কখনও চিন্তাও করিনি। আগে দেখতাম বিদেশে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা বিভিন্ন ইউটিওবার দেরসাথে ভিডিও করছে। আমি চিন্তা করতাম বাংলাদেশ তো এটা সম্ভব না সেটা ভুল প্রমাণ করে তিনি আমাদের সাথে ভিডিও ক্লাস করেছেন। সেটা বিশাল একটা অনুপ্রেরণা ছিল। রবি আমাদের শুরু থেকেই ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট দিয়ে আসছে। ইউএসএইউ , ম্যাটাডোর আমাদের সাপোর্ট দিয়েছে । যখন যা চেয়েছি সাপোর্ট তা আমরা পেয়েছি । এই সংস্থাগুলোর মানুষগুলো আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে আইসিটি ডিভিশনের যে জায়গায় বসে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি সেখানে আমার থাকার কথা না ।
প্রযুক্তি বাংলাঃ আমাদের দৃষ্টিতে আমরা সফল আয়মানকে দেখছি আপনার দৃষ্টিতে কতটা সফল এবং প্রযুক্তি বাংলার পাঠক ও তরুণদের উদ্দেশ্যে আপনার বক্তব্য কি?
আয়মান সাদিকঃ সফলতার মাপকাঠি তো নিজে মাপা যায় না এটি আসলে মানুষ বলতে পারবে । আলহামদুলিল্লাহ আমি নিজে কিছু করতে পারলে বা না পারলেও আমারা যে স্টুডেন্টদের প্রতিনিয়ত পড়াচ্ছি যে আড়াই লক্ষ স্টুডেন্ট শিক্ষা লাভ করছে তারা একদিন এই দেশটাকে বদলাবে। এই স্বপ্নটা আমি দেখি । তরুণদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই অন্যের ওপর দোষ দেওয়া বন্ধ করে দাও, নিজের উপর দোষ নাও এবং কাজ করা শুরু করে দাও।
প্রযুক্তি বাংলাঃ সম্প্রতি আপনি বাংলাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকভাবেও সম্মান কুড়িয়ে বায়লাদেশকে গৌরবান্বিত করেছেন এই বিষয়ে পুরো গল্পটা আপনার মুখ থেকেই শুনতে চাই ।
আয়মান সাদিকঃ আলহামদুলিল্লাহ গত ছয় মাসে আমরা বেশ কিছু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি যেমন এপিক্টা এ্যাওয়ার্ডস যাকে বলা হয় অস্কার অফ আইসিটি ।বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেল, যেটা টেন মিনিটস স্কুল পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল গর্বের ব্যাপার। শুধুমাত্র আমিনা টেন মিনিটস স্কুলে যারা কাজ করে সবার জন্য অনুপ্রেরণার খোরাক। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যখন আন্তর্জাতিক মাধ্যমে আমাদের নিয়ে কথা বলা হয় লেখালেখি হয় তখন মনে হয় আন্তর্জাতিক সেকলেও একটা ভালো মানের কিছু তৈরী করছি। খুব সম্প্রতি আমি কুইন্স ইয়ং লিডারে ভূষিত হয়েছি। ওটা শেষবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। দুই সপ্তাহ আগে নতুন একটা খবর পেলাম ফরবেস ম্যাগাজিন যেটা 30 under 30 । ফরবেসপ্রভাবশালী একটি ম্যাগাজিন .৩০ জন উদ্যোক্তাদের যারা কিনা ৩০ বছর বয়সের মধ্যে। যেখানে আমি তালিকাভুক্ত হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ এটার জন্য ক্রেডিটটা আসলে টেন মিনিটস স্কুল এর স্টডেন্টদের এবং যারা টেন মিনিটস স্কুলের জন্য দিনরাত কাজ করছে তাদের।
ধন্যবাদ প্রযুক্তিবাংলা.নেট কে আমাদের সাথে থাকার জন্য।
Views : 17097
ব্লগ

একাকীত্বে আমি সৃষ্টিকর্তার ছায়া দেখি — নাসরিন হামিদ
একাকীত্বে আমি সৃষ্টিকর্তার ছায়া দেখি
— নাসরিন হামিদ
২১/০৫/২৫
মানুষ একাকী হলে, সে কাঁদে না— সে জেগে ওঠে।
যখন চারপাশে কেউ থাকে না,
তখনই সে দেখতে পায়—
অদৃশ্য এক আলো,
যা শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসে।
আমি একা যখন, আমি সবচেয়ে শক্তিশালী।
কারণ তখনই আমি শুনতে পাই তাঁর ডাক,
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন ভাঙার জন্য নয়,
জেগে ওঠার জন্য।
মানুষ ভীড়ের মধ্যে নয়,
নির্জনতায় তার সবচেয়ে পবিত্র রূপে পৌঁছে যায়।
কা