তিন হাজার জন তরুণ তরুণীকে ৪১টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ
প্রকাশঃ ০৭:২২ মিঃ, জুন ২২, ২০১৮
সরকারিভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আইসিটির ৪১টি বিষয়ের উপর প্রায় তিন হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক (এবং অন্যান্য হাই-টেক পার্ক) –এর উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারিভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন কোর্সের অধীনে প্রায় তিন হাজার জন তরুণ তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এই প্রকল্পটি । দেশের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা দেয়া ছাড়াও প্রশিক্ষণ সুবিধা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত সফটওয়্যার শিল্পের সাথে সম্পর্কিত লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
দেশের হাইটেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ করার জন্য ৪১ টি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এজন্য ১৮টি দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মিলনায়তনে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর বিস্তারিত তুলে ধরেন আইসিটি ডিডিশনের অতিরিক্ত সচিব মামুন আল রশীদ।এসময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের যুগ্মসচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদীসহ বেসিস, বাক্য, বিআইটিম-এর মত প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
সরকারিভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আইসিটির ৪১টি বিষয়ের উপর প্রায় তিন হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক (এবং অন্যান্য হাই-টেক পার্ক) –এর উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারিভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন কোর্সের অধীনে প্রায় তিন হাজার জন তরুণ তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এই প্রকল্পটি । দেশের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা দেয়া ছাড়াও প্রশিক্ষণ সুবিধা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত সফটওয়্যার শিল্পের সাথে সম্পর্কিত লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক (এবং অন্যান্য হাই-টেক পার্ক) –এর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এ এন এম সফিকুল ইসলাম (যুগ্মসচিব) এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের প্রশিক্ষণের অন্যতম লক্ষ্যই হলো, হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপিত বা অবস্থিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের জনবলের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। তাই আমরা আইটি/আইটিইএস সেক্টরের চাহিদার ভিত্তিতে ৪১টি বিষয়ের প্রশিক্ষণ কোর্স কারিকুলাম নির্ধারণ করেছি।
তাছাড়াও Workforce Training (Human Resource Development) Program এর আওতায় আইটি সেক্টরের জন্য কি কি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান সময়পোযোগী হবে তার তালিকাসহ যুগোপযোগী কোর্স কারিকুলাম নির্ধারণ করে তা প্রেরণের জন্য BASIS, BACCO, BCS-এর সভাপতি এবং বিভিন্ন আইটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বরাবরে পত্র প্রেরণ করা হয়। কমিটির প্রস্তাবনা BASIS, BACCO, BCS এবং বিভিন্ন ট্রেনিং ইন্সটিটিউট হতে প্রাপ্ত কোর্স আউটলাইন সমন্বিত করে মোট ৪১টি কোর্স কারিকুলাম নির্ধারণ করা হয়। এ Program এর লক্ষ্য হচ্ছে ২৯০০ জনবলকে প্রশিক্ষণ প্রদান।
কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক (এবং অন্যান্য হাই-টেক পার্ক) –এর উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-পরিচালক জনাব মো. আজিজুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত কর্মশালায় বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, স্টার্ট-আপ, সাংবাদিকবৃন্দ ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড.খন্দকার আজিজুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রকল্পের পরিচালক জনাব গৌরীশংকর ভট্টাচার্য্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, হাই-টেক পার্ক সিলেট (সিলেট ইলেক্ট্রনিক সিটি) এর প্রকল্পের পরিচালক ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া প্রমুখ।
প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন ও নির্বাচনী শর্তসমূহ:
• প্রশিক্ষণে হাই-টেক পার্ক ও সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কে ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীগণের অগ্রাধিকার;
• হাই-টেক পার্ক হতে প্রশিক্ষণার্থী পাওয়া না গেলে শুণ্য স্থান অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও অন্যান্যদের সুযোগদান;
• প্রতি কোর্সে কমপক্ষে ৩০% মহিলা প্রশিক্ষণার্থী;
• মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ও প্রয়োজনে তাদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ;
• প্রশিক্ষণার্থীদের ডিগ্রী/স্নাতক পাস হতে হবে।
প্রশিক্ষণের মান নিশ্চিতকরণে গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ :
• ১৬টি কোর্সের ভেন্ডর সার্টিফিকেশন রয়েছে;
• যে সকল কোর্সের ভেন্ডর সার্টিফিকেশন নেই সেগুলোর জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে;
• প্রশিক্ষণের মান সমুন্নত রাখার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ১মাস পর ৩০%, কোর্স শেষে ৪০% এবং পরীক্ষার পর ৩০% ভাবে অর্থ পরিশোধ করা হবে;
• প্রশিক্ষণার্থীরা মোট কোর্স ফির ১০% বহন করবে;
• নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানকে একসাথে একটি কোর্স পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে এবং কোর্স শেষ হওয়ার পর তার মূল্যায়ন সন্তোষজনক হওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী কোর্স পরিচালনার সুযোগ দেয়া হবে।
• কোর্সের প্রশিক্ষণ জুলাই/২০১৮ মাস হতে শুরু হবে।
প্রশিক্ষণ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
ঢাকা, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, যশোর, রাজশাহী সহ দেশের বড় কয়েকটি শহরে হাইটেক পার্কের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য এই লিঙ্ক এ যেতে হবে। গুগল ফরম পূরন করে আবেদন করতে হবে। এর পর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে পরবর্তীতে জব প্লেসমেন্টের ব্যাবস্থা করা হবে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন http://bhtpa.gov.bd/
Views : 3533
সম্পর্কিত পোস্ট
ব্লগ

একাকীত্বে আমি সৃষ্টিকর্তার ছায়া দেখি — নাসরিন হামিদ
একাকীত্বে আমি সৃষ্টিকর্তার ছায়া দেখি
— নাসরিন হামিদ
২১/০৫/২৫
মানুষ একাকী হলে, সে কাঁদে না— সে জেগে ওঠে।
যখন চারপাশে কেউ থাকে না,
তখনই সে দেখতে পায়—
অদৃশ্য এক আলো,
যা শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসে।
আমি একা যখন, আমি সবচেয়ে শক্তিশালী।
কারণ তখনই আমি শুনতে পাই তাঁর ডাক,
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন ভাঙার জন্য নয়,
জেগে ওঠার জন্য।
মানুষ ভীড়ের মধ্যে নয়,
নির্জনতায় তার সবচেয়ে পবিত্র রূপে পৌঁছে যায়।
কা