বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট : যাত্রা শুরু আজ রাত ১টা ৪৭ মিনিট থেকে ৪টা ২২ মিনিটের মধ্যে যে কোনো সময় আবারও যাত্রা শুরু করবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট।
প্রকাশঃ ১২:৩৬ মিঃ, মে ১২, ২০১৮
যান্ত্রিক বিষয় ছাড়াও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সঙ্গে আবহাওয়া ও পৃথিবীর অভিষর্কের হিসাব-নিকাশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবী হতে অন্তত ১৫০ কিলোমিটার পথ পার হতে পারলে পরবর্তী পথ নিয়ে ভাবনা কম।
এখন সংরক্ষিত দিনের একই সময়ে, মানে আজ রাত ১টা ৪৭ মিনিট থেকে ৪টা ২২ মিনিটের মধ্যে যে কোনো সময় আবারও যাত্রা শুরু করবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। মহাকাশ পানে যাত্রা শুরু বা লঞ্চিং প্যাড হতে উৎক্ষেপণের প্রক্রিয়াটি পুরোটাই স্বয়ংক্রিয়। রকেট ওড়ার মুহূর্তে কম্পিউটারে যদি কোনো সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাউন্ট ডাউন থেমে যায়, উৎক্ষেপণ আটকে যায়। এতে উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স বা কারও কোনো হাত থাকে না। দেশের প্রথম স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে।
যে রকেটে চড়ে মহাকাশের পথে ছুটবে স্যাটেলাইট সেই ফ্যালকন ৯, শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়েই ফুয়েল নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাডে দাঁড়িয়ে ছিল।
যান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আবহাওয়া সব কিছুই ঠিকঠাকই ছিল। তারপর ও প্রথম দিনের উৎক্ষেপণ কেনো থেমে গেলো এখন তার কারণ খুঁজে দেখবেন প্রকৌশলীরা। উৎক্ষেপণ কার্যক্রম স্থগিতের পর তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের বলেন, গ্রাউন্ড স্টেশনের কিছু কারিগরি জটিলতায় বৃহস্পতিবারের মতো উৎক্ষেপণ আজ ও স্থগিত করা হয়েছে।তবে স্যাটেলাইট বা রকেট একেবারেই ত্রুটি মুক্ত আছে।
স্যাটেলাইট স্থগিত করার কারণ বললেন তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় :
জয় লেখেন, “উৎক্ষেপণের শেষ মিনিট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। কম্পিউটারের হিসাবে কোনো কিছু স্বাভাবিকের বাইরে ধরা পড়লে তা উৎক্ষেপণ কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়।রকেট উৎক্ষেপণ, স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ উৎক্ষেপন আটকে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কোরকেট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়া হয় না, তাই এ রকম হওয়াটা ‘খুবই স্বাভাবিক’ বলে নো ক্রুটি নিয়ে কোনোভাবেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয় না। আর মহাকাশে কক্ষপথ পর্যন্ত পৌঁছতে পাড়ি দিতে হবে ৩৬ হাজার কিলোমিটার পথ।
যান্ত্রিক বিষয় ছাড়াও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সঙ্গে আবহাওয়া ও পৃথিবীর অভিষর্কের হিসাব-নিকাশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবী হতে অন্তত ১৫০ কিলোমিটার পথ পার হতে পারলে পরবর্তী পথ নিয়ে ভাবনা কম।
Views : 1354
সম্পর্কিত পোস্ট
ব্লগ

একাকীত্বে আমি সৃষ্টিকর্তার ছায়া দেখি — নাসরিন হামিদ
একাকীত্বে আমি সৃষ্টিকর্তার ছায়া দেখি
— নাসরিন হামিদ
২১/০৫/২৫
মানুষ একাকী হলে, সে কাঁদে না— সে জেগে ওঠে।
যখন চারপাশে কেউ থাকে না,
তখনই সে দেখতে পায়—
অদৃশ্য এক আলো,
যা শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসে।
আমি একা যখন, আমি সবচেয়ে শক্তিশালী।
কারণ তখনই আমি শুনতে পাই তাঁর ডাক,
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন ভাঙার জন্য নয়,
জেগে ওঠার জন্য।
মানুষ ভীড়ের মধ্যে নয়,
নির্জনতায় তার সবচেয়ে পবিত্র রূপে পৌঁছে যায়।
কা