কার জীবন যাপন করছি—আমার, নাকি অন্য কারো?
প্রকাশঃ ০৫:৪৮ মিঃ, মে ২৩, ২০২৫
“নারী কি সত্যিই নিজের মতো করে জীবন যাপন করতে পারে? নাকি সমাজের তৈরি ছাঁচেই তাকে পথ চলতে হয়?”
লেখা: নাসরীন হামিদ | ২৩ মে ২০২৫ |
নারীদের জীবনে একটি সাধারণ কিন্তু গভীর প্রশ্ন প্রায়ই উঠে আসে—
“আমি কি আমার নিজের জীবন যাপন করছি? নাকি অন্যের ইচ্ছা ও মানসিকতার ছাঁচে গড়ে ওঠা একটা জীবন টানছি?”
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সমাজব্যবস্থায় নারীর স্বাধীন জীবনযাপন এখনো বহু বাধা-বিপত্তিতে জর্জরিত।
সমাজ কাঠামো ও নারীর নির্ধারিত পথ
শৈশব থেকেই মেয়েরা শিখে নেয়—নিজের চাওয়া নয়, পরিবারের সিদ্ধান্তই মুখ্য।
কোন বিষয়ে পড়বে, কোথায় চাকরি করবে, কাকে বিয়ে করবে—এসব সিদ্ধান্ত প্রায়ই তার বদলে নেয় সমাজ ও পরিবার। এতে করে একজন নারী অন্যের সিদ্ধান্ত ও প্রত্যাশার আলোকে জীবন যাপন করতে বাধ্য হন।
আত্মপরিচয়ের সংকটে নারী
এই নিয়ন্ত্রিত যাপনের ফলে নারীর মনে প্রশ্ন জাগে—
“আমি আসলে কে?”
যে জীবন যাপন করছি, সেটি কি আমার নিজের, নাকি কেবলই অন্য কারো স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি রূপরেখা? এই আত্মসন্দেহই ধীরে ধীরে নারীর আত্মপরিচয়কে আড়াল করে দেয়।
শিক্ষা ও বাস্তবতার ব্যবধান
শিক্ষা নারীর চোখে আলোর দিশা দেখালেও, বাস্তব জীবনে সেই জ্ঞান প্রয়োগের সুযোগ অনেক নারীর নেই।
শিক্ষিতা হলেও অনেক নারী আজও পরিবারের বা সমাজের চাপেই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন, নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী নয়।
ধীরে বদলাচ্ছে চিত্র
ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া বইছে—অনেক নারী এখন নিজেকে গুরুত্ব দিতে শিখেছেন।
কিছু পরিবার ও সমাজ সচেতনতা দেখাচ্ছে, নারীদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করছে।
তবে, এই পরিবর্তন এখনো সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছায়নি।
উপসংহার
প্রশ্নটা এখনো রয়ে যায়—
“আমি যে জীবন যাপন করছি, সেটা কি আসলে আমার নিজের?”
এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে সমাজের মনোভাব, পারিবারিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং শিক্ষার প্রকৃত প্রয়োগের ওপর।
নারীদের এমন এক সমাজ দরকার, যেখানে তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের জীবন গড়ে তুলতে পারে, অন্যের ছাঁচে নয়—নিজস্ব স্বপ্ন, বিশ্বাস আর আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে।
Views : 431
সম্পর্কিত পোস্ট
ব্লগ

একাকীত্বে আমি সৃষ্টিকর্তার ছায়া দেখি — নাসরিন হামিদ
একাকীত্বে আমি সৃষ্টিকর্তার ছায়া দেখি
— নাসরিন হামিদ
২১/০৫/২৫
মানুষ একাকী হলে, সে কাঁদে না— সে জেগে ওঠে।
যখন চারপাশে কেউ থাকে না,
তখনই সে দেখতে পায়—
অদৃশ্য এক আলো,
যা শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসে।
আমি একা যখন, আমি সবচেয়ে শক্তিশালী।
কারণ তখনই আমি শুনতে পাই তাঁর ডাক,
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন ভাঙার জন্য নয়,
জেগে ওঠার জন্য।
মানুষ ভীড়ের মধ্যে নয়,
নির্জনতায় তার সবচেয়ে পবিত্র রূপে পৌঁছে যায়।
কা