ইন্টারনেট ব্যবহারের খারাপ দিকগুলো নিয়ে পিছিয়ে থাকলে হবে না : জয়

প্রকাশঃ ০৯:৪৬ মিঃ, এপ্রিল ১৫, ২০১৮ Card image cap

ইন্টারনেট ব্যবহারের খারাপ দিকগুলো নিয়ে পিছিয়ে থাকলে হবে না বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, আমরা বিভিন্ন রেগুলেটরি বডির সঙ্গে কাজ করছি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরিয়ে নেয়ার বা বন্ধ করে দেয়ার। চেষ্টা করা হচ্ছে এই প্রযুক্তি দেশে আনার, যাতে অন্তত আমাদের শিশু-কিশোররা ও তরুণরা ক্ষতিকর কনটেন্ট থেকে সুরক্ষিত থাকে। শুধু তারাই নয়, আমাদের লক্ষ্য সংখ্যালঘুদেরকেও রক্ষা করা।

প্রযুক্তি বাংলা কনটেন্ট কাউন্সিলর:

ইন্টারনেটকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা অর্থহীন। আজ ১০টি সাইট বা ফেইসবুক পেইজ ব্লক করা হলে কাল আরও ১০০টি খোলা হবে। আবার ফেইসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করাও নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। ফেইসবুকের নির্মাতার ওপর আমেরিকান সরকারের খড়গ নেমে এসেছে। বাকস্বাধীনতার দেশেই আজ এই অবস্থা, তারা এই ফেইকবুকের প্রভাব নিয়ে চিন্তিত। তারাও পারেনি ফেইসবুকের মিথ্যাচার থামাতে, আমরা পারার প্রশ্নই আসে না। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি, বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।’

রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দুই দিনব্যাপী বিপিও সম্মেলন উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

 

জয় বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে প্রচুর বিপদ আসতে পারে, ফেইসবুকের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আমি ফেইসবুককে ফেইকবুক মনে করি। এর পুরোটাই বানোয়াট, ভিত্তিহীন। এর কারণেই ফেইসবুক বিপদজনক। আমরা তরুণদের, শিশুদের ইন্টারনেটে ছেড়ে দিচ্ছি। ইন্টারনেট সীমাহীন, সেখানে অনেক কিছু আছে যা অশোভন।

 

ইন্টারনেট ব্যবহারের খারাপ দিকগুলো নিয়ে পিছিয়ে থাকলে হবে না বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, আমরা বিভিন্ন রেগুলেটরি বডির সঙ্গে কাজ করছি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরিয়ে নেয়ার বা বন্ধ করে দেয়ার। চেষ্টা করা হচ্ছে এই প্রযুক্তি দেশে আনার, যাতে অন্তত আমাদের শিশু-কিশোররা ও তরুণরা ক্ষতিকর কনটেন্ট থেকে সুরক্ষিত থাকে। শুধু তারাই নয়, আমাদের লক্ষ্য সংখ্যালঘুদেরকেও রক্ষা করা।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার । বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ কে এম খায়রুল আলম এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোসিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।


Views : 1498