"সজীব ওয়াজেদ জয়" তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির রুপকার (২য় পর্ব)

প্রকাশঃ ০১:০২ মিঃ, মে ৩১, ২০১৮ Card image cap

তার বিভিন্ন দূরদর্শী উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ গত ৬ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে আইটি ফ্রিল্যান্সিংয়ে তৃতীয় স্থান দখল করতে সমর্থ হয়েছে। শুধুমাত্র ২০১৫ সালেই এই খাত থেকে ৩০ কোটি ডলার রপ্তানি আয় করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।

প্রযুক্তি বাংলা কনটেন্ট কাউন্সিলর:

তরুণদের নিয়ে কর্মকাণ্ড

তরুণদের শক্তিতে বিশ্বাসী হওয়ায় তিনি সবসময় এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। তাই তিনি তরুণদের বোঝাতে শুরু করলেন যে রাজনীতি কোনো একক ব্যক্তি কিংবা দলের জন্য নয়, রাজনীতি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যই। কোনো শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনিই প্রথম তরুণদের সাথে সরাসরি আলোচনায় বসেন এবং তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করেন। আর তরুণরাও প্রথমবারের মতো দেশের শীর্ষ কোনো ব্যক্তির সাথে এভাবে আলোচনার সুযোগ পান। তরুণদের সাথে তার প্রথম কোনো আলোচনা সভা হয় যখন তিনি ‘সুচিন্তা’ নামের একটি সংগঠন তৈরি করেন।

পলিসি থিংক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর চেয়ারম্যান হিসেবে তরুণদের দেশ পরিচালনায় সম্পৃক্ত করতে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন যার মধ্যে আছে ‘লেটস টক’ এবং ‘পলিসি ক্যাফে’। ২০১৫ সালে তিনি ‘ইয়ং বাংলা’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর ধারণা দেন এবং এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। মূলত বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে শক্তিশালী করতে এবং ই-গভর্নেন্স ও প্রযুক্তি শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কাজ শুরু করেন। উন্নয়ন খাত এবং গভর্নেন্সে বাংলাদেশের বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনেও তিনি তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দেন। তার লক্ষ্য হলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে আইটি আউটসোর্সিংয়ে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়া। ২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানী আয়ে টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস খাতকে অতিক্রম করে যাওয়ার জন্য আইটি খাতকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।

তার বিভিন্ন দূরদর্শী উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ গত ৬ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে আইটি ফ্রিল্যান্সিংয়ে তৃতীয় স্থান দখল করতে সমর্থ হয়েছে। শুধুমাত্র ২০১৫ সালেই এই খাত থেকে ৩০ কোটি ডলার রপ্তানি আয় করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।

এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। হাজার হাজার তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। আরও গবেষণার জন্য অনেককেই দেওয়া হচ্ছে বৃত্তি। বিভিন্ন সরকারি এবং জনসেবায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সরকারি ওয়েবপোর্টাল ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ যা বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহত্। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কয়েক’শ মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। দেশের ৫ হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ডিজিটালাইজেশনের সুফল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে বিপ্লব ঘটানোর কারণে বাংলাদেশকে এখন মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে ধরা হচ্ছে। এমনকি বিল গেটসও এর প্রশংসা করেছেন।

 

চলবে

 

 

সোর্স ইন্টারনেট


Views : 2180

সম্পর্কিত পোস্ট